Header Ads

Header ADS

আথ্রাইটিস

আথ্রাইটিস কী?
আথ্রাইটিস একক কোন রোগ নয়।এটা সাধারনত সন্ধির প্রদাহ বা সন্ধির ব্যথা সংক্রান্ত রোগ কে বোঝায়।যে কোন বয়সের মানুষ এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।মানুষের অক্ষমতার অন্যতম একটি কারণ হলো আথ্রাইটিস। প্রায় ১০০ এর ও বেশি প্রকারভেদ রয়েছে আথ্রাইটিস এর।মানুষ যত বৃদ্ধ হতে থাকে,তার আথ্রাইটিস হবার সম্ভাবনা ও তত বাড়তে থাকে।
প্রকারভেদ ঃ
বিভিন্ন প্রকারভেদ এর মধ্যে সাধারণ কিছু প্রকারভেদ হচ্ছে
১.অষ্টিওআথ্রাইটিস।(Osteoarthritis)
২.রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস। (Rheumatoid Arthritis)
৩.গেটে বাথ(Gout)
৪.জুভেনাইল আথ্রাইটিস (Juvenile Arthritis)
৫.সংক্রমনজাত আথ্রাইটিস (Infective Arthritis)
৬.মেরুদন্ড প্রদাহ( Spondylitis)
এছাড়া ও অনেক প্রকারভেদ রয়েছে।
কীভাবে হয়?
আমাদের অস্থিসন্ধির ভেতরে যে অস্থি থাকে তার শেষ প্রান্তে তরুনাস্থি থাকে।এই তরুনাস্থি অস্থিসন্ধি কে নমনীয় রাখতে এবং অতিরিক্ত চাপ শোষন, নিয়ন্ত্রন প্রভৃতি কাজে সাহায্য করে।যদি এই তরুনাস্থি টি কোন কারনে ক্ষয় হতে থাকে তাহলে তখন আথ্রাইটিস তৈরী হয়।এটা সাধারণত হাটু,কোমড়,ঘাড়,হাতের কনুই,কব্জি,পায়ের এ্যাংকেল অস্থিসন্ধিতে হয়ে থাকে।
কেন হয়?
আমরা সাধারণত খেয়াল করি বৃদ্ধরা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়।তার কারন হলো বয়স।বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুনাস্থি টি ক্ষয় পেতে থাকে আর এ সমস্যা তৈরি হয়।আবার যারা ভারী কাজ করেন যার ফলে অস্থিসন্ধিতে বেশি চাপ পড়ে তারা ও এসমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়।এছাড়া ও যদি কোন কারনে সন্ধিতে ইনফেকশন হয় তাহলে ও এ সমস্যা হতে পারে।আর কিছু মানুষ জন্মগতভাবে এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।আর হ্যা,যদি রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়,তাহলে এটি ও আথ্রাইটিস এর অন্যতম কারণ।
লক্ষন ও উপসর্গঃ
আথ্রাইটিস এর প্রধান লক্ষন ৩ টি।যথাঃ
১) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা থাকবে
২)ফুলে যাবে এবং
৩)শক্ত হয়ে যাবে।
যেহেতু আথ্রাইটিস এ অস্থিসন্ধির নমনীয়তা কমে যায়,সেহেতু নড়াচড়া ভালভাবে করাতে পারবে না।আর নড়াচড়া করলে কিছুক্ষেত্রে মুড়মুড় শব্দ ও হতে পারে।এর কারন তরুনাস্থি যখন ক্ষয় হয়,তখন একটা অস্থি আর একটা অস্থির সাথে ঘর্ষন সৃষ্টি করে।আর হ্যা,অস্থিসন্ধির মাংসপেশীতে ও ব্যথা থাকবে এবং এটি আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পড়বে।
কিভাবে আথ্রাইটিস নির্নয় করবোঃ
আমরা আগেই জেনেছি আথ্রাইটিস প্রায় ১০০ টির ও বেশি রোগের সাথে সম্পর্কিত। তাই এর লক্ষন ও উপসর্গ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।রক্তের পরীক্ষা,রেডিওগ্রাফ, RA Test,বিভিন্ন সময় অস্থিসন্ধি থেকে ফ্লুইড বের করে তার ও পরীক্ষা করে আথ্রাইটিস এর কারন নির্নয় করা হয়।
চিকিৎসা ঃ
আথ্রাইটিস এর চিকিৎসায় বিভিন্ন ব্যথার ওষুধ এবং স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।কিন্তু এর বেশি ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ই ক্ষতিকর।আর আথ্রাইটিস এ এমন ব্যথা থাকে যে এর জন্য রোগীরা এ ওষুধগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে যেতে পারে।তাই এর চিকিৎসার জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এর শরনাপন্ন হওয়া উচিত। তিনি রোগটি নির্ণয় করে বিভিন্ন থেরাপি দিয়ে থাকেন এর পাশাপাশি কিছু উপদেশ মেনে চলতে হয়।যেমনঃ
১) বিশ্রাম এ থাকা।
২) ভারী কাজ না করা।
৩)পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
৪) হাটু মুড়ে না বসা।
৫) কমোড ব্যবহার করা ইত্যাদি স্বাস্থ্য নীতি মেনে চলা।

No comments

Powered by Blogger.